LOADING

ইতিকথা

আলোকিত মানুষ চাই
অন্ধকারে রই, না পড়িলে বই, তখনই আলোকিত হই, যখনি পড়িব বই

যেহেতু কুষ্টিয়া জেলাধীন সদর পৌর এলাকায় সদস্য গণের ব্যক্তি গতচাঁদা, সমাজের সম্পদশালী ব্যক্তিদের দান-অনুদান এর পাশাপাশি সরকারী, বেসরকারী, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সহায়তায় আঞ্চলিক ভাবে সকল জাতী-ধর্ম, বর্ণ-গোত্র ও শ্রেণী-পেশার প্রান্তিক জন গোষ্ঠীর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য সেবাও শিক্ষা নিশ্চিত করণার্থে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সহ সার্বিক সচেতনতা দানের পাশাপাশি মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, মহানমুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আদর্শ সমাজগঠন, জবাবদিহী স্বচ্ছসমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাসহ সামাজিক সমস্যাদি সনাক্ত করণোত্তর উক্ত সমস্যার সমাধান কল্পেসা মাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, ক্রীড়া, শিক্ষা সাহিত্য ও দেশীয় সংস্কৃতির উৎকর্ষতা সাধন, বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর যুগউপযোগী সার্বিক সহায়তাদান পূর্বক একটি টেকসই সমাজ গঠনে অঙ্গীকারা বদ্ধ।

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, কিন্তু বাংলার জনমানুষ এখনো তাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতার দেখা পায়নি। এদেশের কৃষক, ছাত্র-জনতা এখনো তাদের মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে পারেনি। যদি লক্ষ্য করে দেখি একজন ছাত্র এখনো পরিপূর্ণ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না আবার টাকা নেই বলে অনেকে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ছে। অন্যদিকে কৃষক পাচ্ছে না তার সোনার ফসলের ন্যায্য মূল্য। এইসব আগ্রাসন থাকার পরেও কেউ অন্তত বলতে পারে না আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ!

আজ সারা দেশে সাহিত্য ও বিজ্ঞান চর্চার বড্ড অভাব। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক সিলেবাস ভিত্তিক বইছাড়া আর কোন বই পড়তে পারছে না নানান কারণে, যার কারণে তাদের জ্ঞানের পরিধি সীমিত হয়ে পড়ছে, তারা জানতে পারছে না অনেক কিছুই। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান জানতে হলে একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই শিল্প-সাহিত্য এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে জড়িত থাকতে হবে। আমরা দেখতে পাই এই বিজ্ঞানের যুগে এদেশে এখনো নানান কুসংস্কার প্রচলিত, মানুষ এখনো ধর্মের নামে মারামারি-হানাহানি জারি রেখেছে। গ্রামে গ্রামে রয়েছে অদ্ভুত সব কু-সংস্কার যার প্রভাব আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে দেখতে পাই। মেয়েদের এখনো ঘরে বন্দী করে রাখার নানান কৌশল আমাদের সমাজে বিদ্যমান। আমাদের এই প্রচলিত সমাজ এখনো মেয়েদের পণ্য হিসেবে দেখে, দেখে ভোগ্য পণ্য হিসেবে। আমরা এইসব নানান কু-প্রথা থেকে আমাদের উত্তরণ ঘটাতে চাইলে আমাদের অবশ্যই প্রত্যেক পাড়া-মহল্লায় সাহিত্য-বিজ্ঞান চর্চার আয়োজন করা উচিৎ। আর এই চর্চার অন্যতম উন্নত মাধ্যম হচ্ছে প্রত্যেক গ্রামে একটি করে পাঠাগার গড়ে তোলা।

“আলোর পাঠাগার” এমন একটি পাঠাগার যার সৃষ্টি হয়েছে এসব নানান প্রয়োজনে। ০১ সেপ্টেম্বর ২০০৪ ইং তারিখ পাঠাগারের নব সূচনা ঘটে। গ্রামের কয়েকজন স্বপ্নবাজ তরুণ-তরুণীর হাত ধরেই এই পাঠাগারের পথচলা। গ্রামের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের যখন আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোনঠাসা অবস্থা এবং সাধারণ মানুষের সামাজিক অবস্থার করুণ পরিণতি তখনি জরুরি প্রয়োজনে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠা। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তি ঘঠলেই কেবল একজন মানুষ পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে। এইসব মুক্তির একমাত্র কারণ হতে পারে একটি পাঠাগার।

আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানহীন মনন সমাজের মানুষের সহজাত সৌন্দয্যবোধ এবং সাহিত্যচেতনা, তার সৃষ্টিশীলতা ও সংস্কৃতিময়তা, মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ ও ভালোবাসা এবং শিল্পের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে আত্মবিকাশের স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষাকেবিনষ্ট করে দেয়। এই মানবিক বোধসমূহ জাগ্রত ও বিকশিত করে তোলা আমাদের কাজ অথবা সমাজের বাসিন্দা হিসেবে আমাদের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে আমাদের উপর বর্তায়। এই দায়িত্ব পালনে অবিচল ও সদা তৎপর থাকতে আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ। মুক্তির পথ রচনায় এই নিরন্তর ও একনিষ্ট কর্মতৎপরতার মাধ্যমে “আলোর পাঠাগার”সেই সমাজ গঠনের নিশ্চিত পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে; যে সমাজে সুষ্ঠু মানবতাবাদী সুকুমার বৃত্তিগুলোর হবে পরিপূর্ণ বিকাশ; আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধররা সেখানে বেড়ে উঠবে এক পরিপূর্ণ মানবিক গুণাবলি ও অধিকারসম্পন্ন মানুষ হিসেবে। সেখানে আমরাদেখবো আমাদের সৃষ্টিশীলতার নব জাগরণ।

“অন্ধকারেরই, না পড়িলে বই, তখনই আলোকিত হই, যখনি পড়িব বই” এই শ্লোগান সামনে রেখে ছাত্র-জনতার আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের আশু ও দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের জন্য এবং সমাজের নানান সমস্যা-সঙ্কট দূর করার জন্য ছাত্র-জনতাকে বইপড়ানোর মাধ্যমে আলোকিত ও সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলে “আলোর পাঠাগার” অগ্রসর হবে।

দীর্ঘ পথচলায় “আলোর পাঠাগার” ঐক্যবদ্ধ থেকে বই পড়ানোর মাধ্যমে দেশ ও জনগণের শত্রুদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থকরে দেবেএতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের পাঠাগারের সদস্যদের জ্ঞানের উজ্জিবীত মহিমায় সমাজে কোন প্রতিক্রিয়াশীল ও গণবিরোধী গোষ্ঠী টিকে থাকতে পারে না। সচেতন কর্মপ্রচেষ্টা, উদ্যম, দেশপ্রেম ও আত্মদান, মেধা ওশিক্ষার দ্বারা “আলোর পাঠাগার” জ্ঞানের বিজয় ছিনিয়ে আনবেই।

কার্যনির্বাহী পরিষদ

২০২৫-২০২৭

মোঃ রাছেল রানা

প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ০১৭১১৯০১০৯৫

মোঃ জহুরুল ইসলাম

সহ-সভাপতি ০১৭১১৪৭৯১৮৪

মোঃ শেফাতুল ইসলাম

সাধারণ সম্পাদক ০১৯৪৫১০৩০৫০

মোঃ ফিরোজ বুলবুল

সাংগঠনিক সম্পাদক ০১৪০১৪৫১৮৫১

মোঃ মাসুদ রানা

কোষাধক্ষ্য ০১৮৩৯৭৮৭৪৭২

মোঃ মেহের উল্লাহ

দপ্তর সম্পাদক ০১৭১৬১২৩৬৮৮

মোঃ সিরাজুল হক

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ০১৭১৬৭৭৯৫২৪