পাঠাগারের পটভূমি

মানব-সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর হাতিয়ার হচ্ছে গ্রন্থ বা বই। আর এই গ্রন্থের অন্যতম ভান্ডার হলো লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার। এজন্য দেশব্যাপী গ্রন্থপাঠের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে পাঠ সচেতনতা বৃদ্ধি ও গ্রন্থপাঠে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে একটি পাঠমনস্ক জাতি গঠন করা প্রয়োজন। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে উৎপাদনের মূলধারায় নিয়ে আসতে গ্রন্থপাঠ ও গ্রন্থাগারের অধিক ব্যবহার অনস্বীকার্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০০৪ সালে মোঃ রাছেল রানার নির্দেশক্রমে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে তার নিজস্ব ভবনে প্রতিষ্ঠা করে আলোর পাঠাগার। বর্তমানে আলোর পাঠাগার কুষ্টিয়া জেলা শহরের প্রাণ কেন্দ্রের ল’কলেজ মার্কেটের (২য় তলায়) অবস্থিত। কুষ্টিয়া শহর তথা সর্বস্তরের মানুষের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন, নৈমিত্তিক জীবনের জন্য তথ্যের যোগানদান এবং মননশীলতা চর্চার সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। আলোর পাঠাগার এ রয়েছে প্রায় ৬০৪৫টি কাগজের বই এবং ৩৩২৫টি পিডিএফ বই সমৃদ্ধ ওয়েব সাইট বিশিষ্ট লাইব্রেরি, এছাড়া রয়েছে পড়াশুনার মনোরম পরিবেশ।

কুষ্টিয়া জেলায় জন্ম নিয়েছেন বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, বাঘাযতীন, মীর মোশাররফ হোসেন ও অসংখ্য গুণীজন। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্য প্রতিভার বিকাশ সাধনের স্থান কুঠিবাড়ী, শিলাইদহ- এই কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত। ১৬৮২.২৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলাধীন কোটপাড়া কেন্দ্রীক আশে পাশের সমাজসেবী এবং ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি মনোভাবাপন্ন কিছু যুব বা উঠতি বয়সী ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, পৃষ্ঠপোষকতা ও সমন্বিত প্রয়াসে গঠিত একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, যুব, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযু্িক্ত, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নীতির প্রতি সর্ম্পূণ আনুগত্র ও আস্থা স্থাপনকারী এটি একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, যুব, ক্রীড়া, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কতিক বিষয়ক সংগঠন। ০১.০৯.২০০৪ইং তারিখ প্রতিষ্ঠিত করা হয় “আলোর পাঠাগার”। “আলোর পাঠাগার” গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগার, কুষ্টিয়া কর্তৃক নিবন্ধিত, যার নিবন্ধন নম্বর: কুষ্টিয়া সদর-০১২/২০২২, নিবন্ধন তারিখ: ২৭, আগষ্ট ২০২২ইং।